রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সেনা কর্মকর্তারা ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতাপ্রাপ্ত : মব জাষ্টিস নিন্দনীয় ৪৮ মামলার আসামী জিয়াবুলের আস্তানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান : অস্ত্র উদ্ধার টেকনাফে ৩১ দখলদারের থাবায় ১৪ বছরে নিশ্চিহ্ন ৩০০ বছরের পুরোনো বৌদ্ধ বিহার আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কার পেল সায়মন বিচ রিসোর্ট ও সায়মন হেরিটেজ টেকনাফে ৫ কোটি টাকার মূল্যের ১ কেজি আইসসহ গ্রেপ্তার ১ পেকুয়ায় শহীদ ওয়াসিমের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সাক্ষাত করলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ ইনানী সৈকতে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও নিরাপদ পর্যটনের জন্য ‘সমুদ্র সন্ধ্যা’ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে জি থ্রি রাইফেল সহ আরসা কমান্ডার আটক টেকনাফের পাহাড়ে জেল ফেরত যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ক্যাম্পের অগ্নিকান্ডের ঘটনা পরিকল্পিত নাশকতা দাবী রোহিঙ্গাদের

বিশেষ প্রতিবেদক : উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত নাশকতা বলছেন স্বয়ং রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গারা বলেছেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে এই আগুন ধরিয়ে দেয়ার কাজটি করছে। এক্ষেত্রে কেরোসিন ব্যবহারও করেছে চক্রটি। এর কারণে ৪ টি ক্যাম্পে বিচ্ছিন্নভাবে খন্ড খন্ড আগুনের লেলিহান শিখা দেয়া গেছে। এ নাশকতায় জড়িত ৭ থেকে ৯ জনকে আটকের কথাও বলেছেন রোহিঙ্গারা। যদিও এব্যাপারে প্রশাসনিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানা সম্ভব হয়নি ঘটনাটি নাশকতা হলে কারা এর পেছনে জড়িত এবং উদ্দেশ্য বা কি ছিল।

সোমবার দুপুর ২ টার দিকে ক্যাম্প ৮- ডব্লিউতে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সূত্রপাতের কারণ হিসেবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে বলে মত রোহিঙ্গাদের অনেকের।

মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে টানা ৮ ঘন্টা ঘুরে দেখেন এই প্রতিবেদক। কথা বলেন ৬০ জনের বেশি রোহিঙ্গাদের সাথে। যারা সরাসরি এ আগুনে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে, ক্যাম্প ৮- ডব্লিউতে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে ক্যাম্প ৯ এর বলিবাজার মার্কেটের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে আগুনের শিখা দেখা যায়। অথচ ক্যাম্প ৮- ডব্লিউ থেকে বলিবাজারের দূরত্ব এক কিলোমিটারের বেশি। মধ্যখানে কোথাও আগুন দেখা যায়নি। এরপর দেখা মিলে ভিন্ন দৃশ্য। কিছুক্ষণের মধ্যে ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ক্যাম্পে খন্ড খন্ড স্থানে আগুনের শিখা দেখা মিলে। একটা থেকে আরেকটা ক্যাম্পে আগুনের সূত্রপাত হলে ধারাবাহিকভাবে পুঁড়ে পুঁড়ে যেতো। কিন্তু তা না হয়ে খন্ড খন্ড কেন এমন প্রশ্ন রোহিঙ্গাদের সকলের।

এসব রোহিঙ্গারা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের একটি চক্র কেরোসিন নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে আগুন ধরিয়ে দিতে তারা দেখেছেন। কেরোসিনে আগুন দেয়া পর ক্যাম্পে ক্যাম্পে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ আগুনের ভয়াবহতা বাড়িয়ে দেয়।

এসব রোহিঙ্গাদের দাবি এ ঘটনায় জড়িত ৭-৯ জনকে আটক করেছে এপিবিএন। এব্যাপারে ১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক এসপি আতিকুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে মঙ্গলবার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিং এ দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন বলেন, আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠণ হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আগুন লাগার কারণ বলা যাবে।

সোমবার আগুনের ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যুর সংবাদও নিশ্চিত করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888